আসসালামুআলাইকুম
আশাকরি আপনারা ভাল আছেন। আলোচনার বিষয় সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-1877। আমরা জানি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-1877 এ বিষয়টি দেওয়ানী আইনের সহিত অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত। আপনার পরিক্ষা জন্য আমি সবচেয়ে বেশি জোর দিতে বলবো কারণ এ বিষয়ের সিলেবাস অনেকটা ছোট এবং সহজ। তাই আপনি যদি একটু খেয়াল রেখে পড়েন তাহলে এখানের ১০ নম্বই নেয়া সম্ভব। এম.সি.কিউ পরীক্ষায় এ বিষয় থেকে ১০টি প্রশ্ন, এবং লিখিত পরীক্ষায় দেওয়ানীর সাথে মিলে মোট তিনটি প্রশ্ন থাকবে যার মধ্যে ২টির উত্তর দিতে হয়। এর মানে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-1877 থেকে একটি প্রশ্ন থাকবে।
সূচিপত্রঃ
সূচিপত্রঃ
১। এক নজরে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-1877
২। গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহঃ
৩। গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও এর সংক্ষিপাত বর্ণনাঃ
৪। বিষয় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টিকাঃ
৫। এক নজর দেখে নেই-
১। এক নজরে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-1877
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন- ১৯৭৭ সালের ১নং আইন। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭৭ সালের ১লা মো থেকে কার্যকর হয়। এই আইনে মোট ৩টি খন্ড, ১০টি অধ্যায় এবং ৫৭টি ধারা আছে। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৯৭৭ একটি মূল আইন।
২। গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহঃ
৫ ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, -৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭।
৩। গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও এর সংক্ষিপাত বর্ণনাঃ
ধারা-৫ঃ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার যেভাবে প্রদান করা হয়
ধারা-৬ঃ নিরোধক প্রতিকার
ধারা-৮ঃ সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি পূনরুদ্ধার
ধারা-৯ঃ স্থাবর সম্পত্তির দখল চ্যুত ব্যক্তি কর্তৃক মামলা
ধারা-১২ঃ যে সব ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন আদায় যোগ্য
ধারা-১৩ঃ যে চুক্তির বিষয়বস্তু আংশিকভাবে বিলুপ্ত হয়েছে।
ধারা-১৪ঃ চুক্তির অংশ বিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন, যেখানে অসম্পাদিত অংশ হচ্ছে ছোট।
ধারা-১৫ঃ চুক্তির অংশ বিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন যেখানে অসম্পাদিত অংশ বড়।
ধারা-২১ঃ যে চুক্তি সমূহ সুনিদির্ষ্ট ভাবে কার্যকরী করণে যোগ্য নয়।
ধারা-২২ঃ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনে ডিক্রী প্রদান প্রসঙ্গে ইচ্ছাধীনে দাবিদার ব্যক্তি এবং পক্ষ সমূহ বিরুদ্ধে প্রতিকার।
ধারা-২৭ঃ পক্ষগণ ও তাদের নিকট প্রাপ্ত পরবর্তী সত্ত্বাধীনে দাবিদার ব্যক্তি এবং পক্ষসমূহের বিরুদ্ধে প্রতিকার।
ধারা-৩১ঃ যখন দলিল সংশোধন করা যেতে পারে(প্রতারণা ও পারস্পারিক ভুলেল দলিল)।
ধারা-৩৫ঃ যখন চুক্তি রদ করা যায়।
ধারা-৩৯ঃ যখন দলিল বিলুপ্তির আদেশ প্রদান করা যাইতে পারে।
ধারা-৪০ঃ যে দলিল সমূহ আংশিক ভাবে বিলুপ্ত করা যাইতে পারে।
ধারা-৪২ঃ মর্যাদা বা অধিকার ঘোষণা সম্পর্কে আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা।
ধারা-৪৪ঃ রিসিভার নিয়োগ
ধারা-৫২ঃ নিরোধক প্রতিকার যেভাবে মঞ্জুর করা হয়
ধারা-৫৩ঃ অস্থায়ী ইনজাংশন
ধারা-৫৪ঃ চিরস্থায়ী ইনজাংশন যখন মঞ্জুর করা হয়।
ধারা-৫৫ঃ বাধ্যতামূলক উনজাংশন।
ধারা-৫৬ঃ উনজাংশন যখন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
ধারা-৫৭ঃ নেতিবাচক চুক্তি পালন করবার জন্য ইনজাংশন।
৪। বিষয় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টিকাঃ
১। নিরোধক প্রতিকার-
ধারা-৫ এর (গ) নং দফা মোতাবেক আইনগতভাবে কোনো কাজ না করিতে বাধ্য এমন পক্ষকে তাহা করা হইতে বিরত রাখিবার মাধ্যমে। অর্থাৎ- আদালত বিবেচনামূলক ভাবে ক্ষমতাবলে অস্থায়ী বা চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জারির মাধ্যমে নিরোধক প্রতিকার প্রয়োগ করে থাকে।
৫। এক নজর দেখে নেই-
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন- ১৯৭৭ সালের ১নং আইন। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭৭ সালের ১লা মো থেকে কার্যকর হয়। এই আইনে মোট ৩টি খন্ড, ১০টি অধ্যায় এবং ৫৭টি ধারা আছে। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৯৭৭ একটি মূল আইন।
১ম খন্ড- সূচনা
( ০১ থেকে ০৭ টি ধারা)
২য় খন্ড- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার
(১ম-৮ম অধ্যায়, ০৮ থেকে ৫১ ধারা পর্যন্ত)
১ম অধ্যায়- সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে
(ক) স্থাবর সম্পত্তির দখল
৮-৯ ধারা পর্যন্ত
৮-৯ ধারা পর্যন্ত
(খ) অস্থাবর সম্পত্তির দখল
১০-১১ ধারা পর্যন্ত
৮ম অধ্যায়- সরকারি কর্তব্যসমূহ সম্পাদন প্রসঙ্গে
(১৯৭৩ সালের ৮ আইন দ্বারা ৪৫-৫১ ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে।)
৩য় খন্ড- নিরোধর প্রতিকার প্রসঙ্গে
১০-১১ ধারা পর্যন্ত
২য় অধ্যায়- চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন
(ক) যে সকল চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যাইতে পারে
(ক) যে সকল চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যাইতে পারে
১২-২০ ধারা পর্যন্ত
(খ) যে সকল চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যাইতে পারে না
২১-২১ক ধারা পর্যন্ত
(গ) আদালতের বিবেচনা মূলক ক্ষমতা প্রসঙ্গে২১-২১ক ধারা পর্যন্ত
২২ ধারা পর্যন্ত
(ঘ) যাহাদের বেলায় চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায়
২৩ ধারা পর্যন্ত
(ঙ) যাহাদের বেলায় চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না
৭ম অধ্যায়- রিসিভার নিয়োগ প্রসঙ্গে
২৩ ধারা পর্যন্ত
(ঙ) যাহাদের বেলায় চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না
২৪-২৫ ধারা পর্যন্ত
(চ) পরিবর্তন ব্যতিত যাহাদের বেলায় চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না
২৬ ধারা পর্যন্ত
(ছ) যাহাদের বিরুদ্ধে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায়২৬ ধারা পর্যন্ত
২৭-২৭ক ধারা পর্যন্ত
(জ) যাহাদের বিরুদ্ধে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না
২৮ ধারা পর্যন্ত
(ঝ) সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের মামলা খারিজ করার ফলাফল
৫ম অধ্যায়- দলিল বাতিল প্রসঙ্গে২৮ ধারা পর্যন্ত
(ঝ) সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের মামলা খারিজ করার ফলাফল
২৯ ধারা পর্যন্ত
(ঞ) বন্দোবস্ত সম্পাদনের রায় ও নির্দেশাবলী
৩০ ধারা পর্যন্ত
৩০ ধারা পর্যন্ত
৩য় অধ্যায়- দলিল সংশোধন প্রসঙ্গে
৩১-৩৪ ধারা পর্যন্ত
৪র্থ অধ্যায়- চুক্তির রদ প্রসঙ্গে
৩৫-৩৮ ধারা পর্যন্ত
৩৯-৪১ ধারা পর্যন্ত
৬ষ্ঠ অধ্যায়- ঘোষণামূলক ডিক্রি প্রসঙ্গে
৪২-৪৩ ধারা পর্যন্ত
৪৪ ধারা পর্যন্ত
৩য় খন্ড- নিরোধর প্রতিকার প্রসঙ্গে
(৯ম-১০ম অধ্যায়, ৫২ থেকে ৫৭ ধারা পর্যন্ত)
৯ম অধ্যায়- সাধারণ নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে
৫২-৫৩ ধারা পর্যন্ত
১০ম অধ্যায়- চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে
৫৪-৫৭ ধারা পর্যন্ত
২। গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহঃ
৫ ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, -৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭।
৩। গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও এর সংক্ষিপাত বর্ণনাঃ
ধারা-৫ঃ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার যেভাবে প্রদান করা হয়
ধারা-৬ঃ নিরোধক প্রতিকার
ধারা-৮ঃ সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি পূনরুদ্ধার
ধারা-৯ঃ স্থাবর সম্পত্তির দখল চ্যুত ব্যক্তি কর্তৃক মামলা
ধারা-১২ঃ যে সব ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন আদায় যোগ্য
ধারা-১৩ঃ যে চুক্তির বিষয়বস্তু আংশিকভাবে বিলুপ্ত হয়েছে।
ধারা-১৪ঃ চুক্তির অংশ বিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন, যেখানে অসম্পাদিত অংশ হচ্ছে ছোট।
ধারা-১৫ঃ চুক্তির অংশ বিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন যেখানে অসম্পাদিত অংশ বড়।
ধারা-২১ঃ যে চুক্তি সমূহ সুনিদির্ষ্ট ভাবে কার্যকরী করণে যোগ্য নয়।
ধারা-২২ঃ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনে ডিক্রী প্রদান প্রসঙ্গে ইচ্ছাধীনে দাবিদার ব্যক্তি এবং পক্ষ সমূহ বিরুদ্ধে প্রতিকার।
ধারা-২৭ঃ পক্ষগণ ও তাদের নিকট প্রাপ্ত পরবর্তী সত্ত্বাধীনে দাবিদার ব্যক্তি এবং পক্ষসমূহের বিরুদ্ধে প্রতিকার।
ধারা-৩১ঃ যখন দলিল সংশোধন করা যেতে পারে(প্রতারণা ও পারস্পারিক ভুলেল দলিল)।
ধারা-৩৫ঃ যখন চুক্তি রদ করা যায়।
ধারা-৩৯ঃ যখন দলিল বিলুপ্তির আদেশ প্রদান করা যাইতে পারে।
ধারা-৪০ঃ যে দলিল সমূহ আংশিক ভাবে বিলুপ্ত করা যাইতে পারে।
ধারা-৪২ঃ মর্যাদা বা অধিকার ঘোষণা সম্পর্কে আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা।
ধারা-৪৪ঃ রিসিভার নিয়োগ
ধারা-৫২ঃ নিরোধক প্রতিকার যেভাবে মঞ্জুর করা হয়
ধারা-৫৩ঃ অস্থায়ী ইনজাংশন
ধারা-৫৪ঃ চিরস্থায়ী ইনজাংশন যখন মঞ্জুর করা হয়।
ধারা-৫৫ঃ বাধ্যতামূলক উনজাংশন।
ধারা-৫৬ঃ উনজাংশন যখন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
ধারা-৫৭ঃ নেতিবাচক চুক্তি পালন করবার জন্য ইনজাংশন।
৪। বিষয় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টিকাঃ
১। নিরোধক প্রতিকার-
ধারা-৫ এর (গ) নং দফা মোতাবেক আইনগতভাবে কোনো কাজ না করিতে বাধ্য এমন পক্ষকে তাহা করা হইতে বিরত রাখিবার মাধ্যমে। অর্থাৎ- আদালত বিবেচনামূলক ভাবে ক্ষমতাবলে অস্থায়ী বা চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জারির মাধ্যমে নিরোধক প্রতিকার প্রয়োগ করে থাকে।
৫। এক নজর দেখে নেই-
No comments:
Post a Comment