ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮ - - - -



আসসালামুআলাইকুম
আশাকরি আপনারা ভাল আছেন। আপনাদের সাথে এবার আলোচনা করবো ফৌঃকাঃ-১৮৯৮ এ বইটি নিয়ে। আমরা জানি ফৌঃকাঃ-১৮৯৮ এ বিষয়টি বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অতীব জরুরী বিষয়, এর প্রধার কারণ হচ্ছে এম.সি.কিউ পরীক্ষায় এ বিষয় থেকে ২০টি প্রশ্ন, এবং লিখিত পরীক্ষায় ১৫ নাম্বারের জন্য ২টি প্রশ্ন থাকে যার মধ্যে ১টি বাধ্যতামূলক প্রশ্ন থাকে। অতএব এ ফৌঃকাঃ বিষয়টিকে কোন ভাবেই হালকা ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। এখন আসি এ বইটি কিভাবে শুরু করতে হবে। আমরা জানি এ বিষয়ের সিলেবাস অন্য বিষয়ের তুলনায় একটু বেশি। তাই সিলেবাস দেখে অনেকেই ভয় পায়। আমি আপনাদের সামনে এ বিষয়টি কিভাবে আয়ত্বে আনবেন এ বিষয়ে দু একটি কথা বলবো। 

আপনি যদি কোন বিষয়টি আনতে চান তাহলে প্রথমেই সেই বিষয় সম্পর্কে ভাল ভাবে জানতে হবে। তাই আমি প্রথমেই আপনাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। আমি প্রথমেই বলেছি আমি নিজেই সাধারণ এক জন শিক্ষার্থী, তাই আমি আমার দৃষ্টি থেকে বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। যেমন আমি প্রথমেই ফৌঃকাঃ এর কতগুলো ধারা, অধ্যায় এবং ভাগ আছে তা শিখে নিয়েছি। এতে সুবিধা হয় গোটা বইটি আপনার চোখের সামনে থাকে। উদাহরণ- ধরুন একটি প্রশ্ন এমন যে- অসুস্থ লোকের জামিন কত ধারায় চাবেন?? এখণ আপনি যদি জানেন যে জামিন বিষয়ে বলা আছে- 496-502 ধারায় এর মানে আপনাকে 565 টি ধারা নয় চিন্তা করতে হবে মাত্র ৭টি ধারা নিয়ে। এখন আসি এম.সি.কিউ পরীক্ষায় আপনাকে যদি জামিন বিষয়ে কোন প্রশ্ন আসে তাহলে শুধু আপনি ৭টি ধারা নিয়ে চিন্তা করবেন এতে আপনার পরীক্ষা যথেষ্ট সহজ মনে হবে তেমনি যদি কোন প্রশ্ন আসে লিখিত পরীক্ষায় তাহলে আপনি যদি আপনার উত্তরে এ ৭টি ধারা ঘুরিয়ে ফিরে লিখে আসেন তাহলেও পরীক্ষক বুঝতে যে আপনার এ বিষয়ে নুন্যতম ধারণা হলেও আছে। এটা আপনার জন্য যথেষ্ট সহায়ক হবে। আপনি যদি আমার লেখনির ১। এক নজরে ফৌজদারী কার্যবিধি-1898, ২।  গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহঃ, ৩। গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও এর সংক্ষিপাত বর্ণনা পর্য ন্ত ভাল করে শেষ করতে পারেন তাহলে ধরে নিন বই এর আপনি 60% শেষ হয়েছে। আরো রিস্তারিত জানার জন্য মুল বই পরবেন। আর যেহেতু আপনি প্রতিযোগিতা মুলক পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করছেন তাই আমি আপনাকে অনুরোধ করবো বই এর যেন কোন একটি বিষয়ও বাদ না যায়। তাবে আমার লেখনি আপনাকে বইটি সহজে বুঝতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস।  


ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮(ফৌঃকাঃ) সালের ৫নং আইন, প্রকাশিত হয়-১৮৯৮সালের ২২ মার্চ এবং কার্যকর হয় ১লা জুলাই থেকে, এটি মুলত পদ্ধতিগত আইন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে মুল আইন হিসেবেও এর প্রয়োগ দেখা যায়। এ আইনে ৫টি তফসিল এবং ৫৬৫টি ধারা আছে। ২০০৭ সালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্কিত বিধানটি আরোপিত হয়। 

সূচিপত্রঃ
১। এক নজরে ফৌজদারী কার্যবিধি-1898
২।  গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহঃ
৩। গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও এর সংক্ষিপাত বর্ণনাঃ
৯। ফৌজদারীকার্যবিধী আইন-১৯০৮ 


১। এক নজরে ধারা ও আদেশ
ফৌঃকাঃ মোট ৫৬৫টি ধারা যাহা ৯টি ভাগে ৪৬টি অধ্যায়ে রয়েছে। 

১ম ভাগ- প্রাথমিক বিষয়
১ম অধ্যায়, ০১ থেকে ০৫ ধারা পর্যন্ত। 
২য় ভাগ- ফৌজদারী আদালত ও অফিসের গঠন ও ক্ষমতা
২-৩ অধ্যায়, ০৬ থেকে ৪১ ধারা পর্যন্ত।
৩য় ভাগ-সাধারণ বিধানবলী
৪-৭ অধ্যায়, ৪২ থেকে ১০৫ ধারা পর্যন্ত।
৪র্থ ভাগ-অপরাধ প্রতিরোধ
৮-১৩ অধ্যায়, ১০৬ থেকে ১৫৩ ধারা পর্যন্ত।
৫ম ভাগ- পুলিশের নিকট খরব এবং পুলিশের তদন্তের অধিকার
১৪ অধ্যায়, ১৫৪ থেকে ১৭৬ ধারা পর্যন্ত।
৬ষ্ঠ ভাগ- ফৌজদারী মামলার কার্যক্রম
১৫-৩০ অধ্যায়, ১৭৭ থেকে ৪০৩ ধারা পর্যন্ত।
৭ম ভাগ- আপীল, রেফারেন্স ও  রিভিউ বিষয়ক
৩১-৩২ক অধ্যায়, ৪০৪ থেকে ৪৪২ক ধারা পর্যন্ত।

১ম ভাগ- প্রাথমিক বিষয়
১ম অধ্যায়- প্রারম্ভিক, ০১-০৫ ধারা পর্যন্ত। 
২য় ভাগ- ফৌজদারী আদালত ও অফিসের গঠন ও ক্ষমতা
২-৩ অধ্যায়, ০৬ থেকে ৪১ ধারা পর্যন্ত।
২য় অধ্যায়- ফৌঃ আদালত ও অফিসের গঠন
০৬-২৭ ধারা পর্যন্ত
৩য় অধ্যায়- আদালতের ক্ষমতা
২৮-৪১ ধারা পর্যন্ত। 
৩য় ভাগ- সাধারণ বিধানবলী
৪-৭ অধ্যায়, ৪২ থেকে ১০৫ ধারা পর্যন্ত।
৪র্থ অধ্যায়- ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও গ্রেফতারকারী ব্যক্তিগণকে সাহায্য ও তথ্য প্রদান
৪২-৪৫ ধারা পর্যন্ত। 
৫ম অধ্যায়- গ্রেফতার পলায়ন ও পুনরায় গ্রেফতার
৪৬-৬৭ ধারা পর্যন্ত। 
৬ষ্ঠ অধ্যায়- আদালতে হাজিরায় বাধ্য করাইবার ওয়ারেন্ট সম্পর্কিত
৬৮-৯৩গ ধারা পর্যন্ত। 
৭ম অধ্যায়- দলিল ও অস্থাবর সম্পত্তি উপস্থিত করিবার এবং অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ওয়ারেন্ট 
৯৪-১০৫ ধারা পর্যন্ত। 
৪র্থ ভাগ-অপরাধ প্রতিরোধ
৮-১৩ অধ্যায়, ১০৬ থেকে ১৫৩ ধারা পর্যন্ত।
৮ম অধ্যায়- শান্তি রক্ষা ও সদচরণের জন্য মুচলেখা
১০৬-১২৬ক ধারা পর্যন্ত। 
৯ম অধ্যায়- বেআইনী সমাবেশ
১২৭-১৩২ ধারা পর্যন্ত। 
১০ম অধ্যায়- গণ-উপদ্রব
১৩২-১৪৩ ধারা পর্যন্ত। 
১১তম অধ্যায়- উপদ্রব বা বিপদাশংকার জরুরী পরিস্থিতিতে অস্থায়ী আদেশ
১৪৪ ধারা পর্যন্ত। 
১২তম অধ্যায়- স্থাবর সম্পত্তি লইয়া কলহ
১৪৫-১৪৮ ধারা পর্যন্ত। 
১৩তম অধ্যায়- পুলিশের প্রতিরোধমূলক কার্য
১৪৯-১৫৩ ধারা পর্যন্ত। 


৫ম ভাগ- পুলিশের নিকট খরব এবং পুলিশের তদন্তের অধিকার
১৪ অধ্যায়, ১৫৪ থেকে ১৭৬ ধারা পর্যন্ত।
১৪তম অধ্যায়- আমলযোগ্য ও অআমলযোগ্য মামলা
১৫৪-১৭৬ ধারা পর্যন্ত।
৬ষ্ঠ ভাগ- ফৌজদারী মামলার কার্যক্রম
১৫-৩০ অধ্যায়, ১৭৭ থেকে ৪০৩ ধারা পর্যন্ত।
১৫তম অধ্যায়- ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্ত ও বিচারের ক্ষেত্রে ফৌঃ আদালতের এখতিয়ার
১৭৭-১৯৯ ধারা পর্যন্ত।
১৬তম অধ্যায়- ম্যাজিস্ট্রিটের নিকট নালিশ সম্পর্কি
২০০-২০৩ ধারা পর্যন্ত।
১৭তম অধ্যায়- ম্যাজিস্ট্রিটের নিকট মামলা শুরু
204-205গ ধারা পর্যন্ত।
১৮তম অধ্যায়- বাতিল
206-220 ধারা পর্যন্ত।
১৯তম অধ্যায়- চার্জ বিষয়ে
221-240 ধারা পর্যন্ত।
২০ তম অধ্যায়- ম্যাজিস্ট্রিট কর্তৃক মামলার বিচার বিষয়ে
241-250 ধারা পর্যন্ত।
২১তম অধ্যায়- বাতিল
251-259 ধারা পর্যন্ত।
২২ তম অধ্যায়- সংক্ষিপ্ত বিচার বিষয়ে
260-264 ধারা পর্যন্ত।
২৩ তম অধ্যায়- দায়রা আদালতে বিচার বিষয়ে
265ক-265ঠ ধারা পর্যন্ত।
২৪ তম অধ্যায়- ইনকোয়ারী ও বিচার সম্পর্কে সাধারণ বিধান
337-352 ধারা পর্যন্ত।
২৫ তম অধ্যায়- ইনকোয়ারী ও বিচারে সাক্ষ্য গ্রহণ ও লিপিবদ্ধ করিবার পদ্ধতি বিষয়ে
353-365 ধারা পর্যন্ত।
২৬ তম অধ্যায়- রায় বিষয়ে
366-373 ধারা পর্যন্ত।
২৭ তম অধ্যায়- দন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য পেশ করার বিষয়ে
374-380 ধারা পর্যন্ত।
২৮ তম অধ্যায়- শাস্তি কার্যকর করিবার বিষয়ে
381-400 ধারা পর্যন্ত।
২৯ তম অধ্যায়- শান্তি স্থাপন, হ্রাস ও পরিবর্তনের বিষয়ে 
401-402ক ধারা পর্যন্ত।
৩০ তম অধ্যায়- পূবেকার খালাস অথবা দন্ড বিষয়ে
403 ধারা পর্যন্ত।
৭ম ভাগ- আপীল, রেফারেন্স ও  রিভিউ বিষয়ক
৩১-৩২ক অধ্যায়, ৪০৪ থেকে ৪৪২ক ধারা পর্যন্ত।
৩১ তম অধ্যায়- আপীল
404-431 ধারা পর্যন্ত।
৩২ তম অধ্যায়- রেফারেন্স ও রিভিউ
432-442ক ধারা পর্যন্ত।
৮ম ভাগ- বিশেষ কার্যক্রম
৩৩-৩৭ অধ্যায়, ৪৪৩ থেকে ৪৯১ক ধারা পর্যন্ত।
৩৩ তম অধ্যায়- বাতিল
443-463 ধারা পর্যন্ত।
৩৪ অধ্যায়- উন্মাদ
464-475 ধারা পর্যন্ত।
৩৫ তম অধ্যায়- বিচার সংক্রান্ত কতিপয় অপরাধের কার্যধারা
476-487 ধারা পর্যন্ত।
৩৬ তম অধ্যায়- স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণ বিষয়ে
488-490 ধারা পর্যন্ত।
৩৭ তম অধ্যায়- হেবিয়াস কর্পাস প্রকৃতির নির্দেশ
491-491ক ধারা পর্যন্ত।
৯ম ভাগ- পরিপূরক বিধান
৩৮-৪৬ অধ্যায়, ৪৯২ থেকে ৫৬৫ ধারা পর্যন্ত।
৩৮ তম অধ্যায়- পাবলিক প্রসিকউটর বিষয়ে
492-495 ধারা পর্যন্ত।
৩৯ তম অধ্যায়- জামিন বিষয়ে
496-502 ধারা পর্যন্ত।
৪০ তম অধ্যায়- সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য কমিশন বিষয়ে
503-508ক ধারা পর্যন্ত।
৪১ তম অধ্যায়- সাক্ষ্য গ্রহনের বিশেষ বিধি
509-512 ধারা পর্যন্ত।
৪২ তম অধ্যায়- বন্ড সংক্রান্ত বিধান
513-516 ধারা পর্যন্ত।
৪৩ তম অধ্যায়- মুচলেকা-সংক্রান্ত বিধানসমূহ
516ক-525 ধারা পর্যন্ত।
৪৪ তম অধ্যায়- সম্পত্তি নিষ্পত্তি বিষয়ে
525ক-528 ধারা পর্যন্ত।
৪৫ তম অধ্যায়- অনিয়মিত কার্যক্রম বিষয়ে 
529-538 ধারা পর্যন্ত।
৪৬ তম অধ্যায়- বিবিধ
539-565 ধারা পর্যন্ত।

২।  গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহঃ
4, 6, 9, 10, 11, 12,46, 52, 54, 61, 87, 88, 96, 98, 100, 106, 107, 108, 109, 110, 144,117, 144, 145, 146(6) 146,146(1) 148, 154, 155, 156, 161, 162, 164, 167, 172, 173, 174, 175, 176, 190, 191, 192, 193, 196, 198, 199, 200, 201, 202, 203, 204, 205, 221, 233, 234, 235, 237, 241, 241ক, 242, 243, 244, 245, 245(1), 245(2), 246, 247, 248, 249, 265(গ-ট), 337, 342, 345, 364, 365, 369, 374, 375, 376, 382, 399, 401, 402, 403,  404, 405, 406, 406ক, 407, 408, 409, 410, 412, 413, 414, 417, 417ক, 418, 419, 420, 435, 436, 438, 439, 439ক, 425, 426, 427, 428, 429, 430, 464, 476, 488, 491, 494, 496, 497, 498, 499, 500, 502, 508, 509, 509ক, 512, 526, 526বি, 528, 528(১), 528(2), 548, 561(ক)।
৩। গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও এর সংক্ষিপাত বর্ণনাঃ
আসছে......
ধারা-4=  ,
৯। ফৌজদারীকার্যবিধী আইন-১৯০৮
আসছে.......

No comments:

Post a Comment