ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮ পার্ট-২ - - -

৬। বিষয় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টিকাঃ

৭। দেওয়ানী আইনের সহিত গুরুত্বপূর্ণ তামাদি সমূহঃ


৮। এক নজর দেখে নেই-


১ম ভাগ (প্রথমিক বিষয়)

২য় ভাগ
ফৌজদারী আদালত ২ ধরণের ১। দায়রা  ২। ম্যাজিষ্ট্রেট।   * ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ২ ধরণের : ১। নির্বাহী, ২। জুডিসিয়াল।
জুডিসিয়াল আবার ৪ ধরনের:- মহানগর এলাকার: ১. চীফ মহানগর জুডিসিয়াল ২. মেষ্ট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৩. ২য় শ্রেনী ম্যাজি: ৪. ৩য় শ্রেনী ম্যাজি: জেলার ক্ষেত্রে: ১. চীফ জুডিসিয়াল ২. ১ম শ্রেনীর ম্যাজি: ৩. ২য়শ্রেনী  ৪. ৩য় শ্রেনী
নির্বাহী ম্যাজি: ১টি জেলায় বা মহানগরে যত ইচ্ছা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দিতে পারে। এর মধ্যে একজন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হবে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হবেন যে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর ক্ষমতায় থাকবেন।  
জুডিসিয়াল ম্যাজি: প্রত্যেক জেলায় চীফ, অতিরিক্ত চীফ, অন্য জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট। 
নোট: জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট= অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, চীফ= অতিরিক্ত চীফ, দায়রা=অতি: দায়রা।
১২: স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট: স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট গুলো সাধারণ নির্বাহী ম্যাজি: থেকে হবে তবে যদি কোন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটকে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট করা হয় তবে সে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট বলে অভিহিত হবে। তাদের ক্ষমতা হবে  সারা জেলা। 
ম্যাজিষ্ট্রেট বেঞ্চ: ২ বা ততোধিক ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে বেঞ্চ (১ম,২য়,৩য় ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে)। জাষ্টিস অব-দা পিস : বিদেশী ছাড়া যে কেউ হতে পারে/অশিক্ষিত ব্যক্তিও হতে পারে।
আদালতের ক্ষমতা
হাইর্কোট: অনুমোদিত সকল শাস্তি, দায়রার  রায়ের আপীল ও রিভিশন,  একজেলা থেকে অন্য জেলায় স্থানান্তর। 
দায়রা/অতি:দায়রা: অনুমোদিত সকল শাস্তি, তবে মৃত্যুদন্ড কার্যকরণে হাই: অনুমতি লাগবে, ১ম শ্রেনির ম্যাজি: রায়ের আপীল ও রিভিশন। এককোর্ট থেকে অন্য কোর্টে মামলা বদলি (অতি:দায়রা,যুগ্ন,চীফ)। 
যুগ্ম দায়রা: ১০ বছর ও  ১০ হাজার টাকা এর নিচে সব /যে কোন শাস্তি। আপীল করতে হবে হাইকোর্টে যদি দন্ড ৫বছর+হয় । 
চীফ(অল): মৃত্যুন্ড ব্যতিত সকল শাস্তি দিতে পারে। ২য় এবং ৩য় রায়ের আপীল, ১ম, ২য় ও ৩য় এর মামালা বদলি করতে পারে।  
* ম্যাজিষ্ট্রেট: ১ম শেনীর- ৫বছর ১০ হাজার টাকা, ২য় শ্রেনী- ৩বছর দন্ড ৫ হাজার টাকা, ৩য় শ্রেনী- ২বছর দন্ড ২ হাজার টাকা, 
বিশেষ ম্যাজিষ্ট্রেট(১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেনী)- ৭বছর এর নিচে সব এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড দিতে পারে। 
ব্যক্তি একাধিক সাজা পেলে বিচারক আলাদা আলাদা দন্ড দিতে পারে। তবে তা মোট ক্ষমতার দ্বিগুন হবে না। 
নোট: ১৫ বছরের নিচে হলে ম্যাজি: বিচার করতে পারে। জরিমানা অনাদায়ে দন্ড ১/৪ এর অধিক হবে না। একই বিচারেও দুই বা ততোধিক দন্ডের ক্ষেত্রে দন্ডের পরিমান ১৪ বছরের অধিক হবে না বা এখতিয়ারের দ্বিগুন হবে না। যতদিন জেলে থাকবে ততদিন মোট দন্ড থেকে বাদ যাবে। আদেশ না থাকলে দন্ড একটির পর অপরটি শুরু হবে। 
৩য় ভাগ (গ্রেফতারী)
পুলিশকে সহায়তা না করা দন্ডনীয় অপরাধ। গ্রেফতার মানে আটকানো। হাতে ধরে বা হাতে কবরা পড়িয়ে  বা যেকোনা ভাবে । যদি আসামী কোন বাড়িতে আশ্রয় নেয় তবে বাড়ির মালিকের দায়িত্ব পুলিশকে সাহায্য করতে বাধ্য। আসামী ধরতে পুলিশ ঘরের দরজা জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেও বের করতে পারবে। ঘরে মহিলা থাকলে বের করে দিবেন। মেয়ে লোকেদের সার্চকরাতে হবে মেয়ে মানুষ দ্বারা।
২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী কোর্টে নিতে পুলিশ বাধ্য। ১ থানার পুলিশ আসামী ধরতে বাংলাদেশের যেকোন স্থানে যেতে পারে। এবং গ্রেফতারের পরে নিকটতম থানায় বা কোর্টে হাজির করতে হবে।  সাধারণ মানুষও গ্রেফতার করতে পারবে। (৪৬)। গ্রেফতারের সময় মৃত্যুদন্ড ব্যক্তি ব্যতিত  মৃত্যু ঘটানো যাবে না।
(৬১) যাতায়াতের সময় বাদ দিয়ে ২৪ ঘন্টার বেশি আটক রাখা যাবে না।
(৬২) আটককৃত ব্যক্তিকে নিজ মুছলেকা/জামিনদার অথবা ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশ ব্যতিত ছাড়া যাবে না।
(৬৪) ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে অপরাধ করিলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে।
 * ৬ষ্ঠ অধ্যয়: যাকে সমন দিবে তার নাম ঠিকানা স্পষ্ট লেখা থাকবে। যার সমন তার হাতেই দিতে হবে এবং স্বাক্ষর করে সমন রাখবেন। তাকে না পেলে তার বাড়ীর সদস্য। তা না হলে বাড়ীর সামনে লটকিয়ে জারি করতে হবে। সাধারণত থানার পুলিশ সমন জারি করে। আদালতের আদেশে তারা যাবেন । সমনে ব্যক্তি না আসলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সমনের চেয়ে কঠোর পদ্ধতি ওয়ারেন্ট। ওয়ারেন্ট থেকে কঠোর পদ্ধতি ক্রেক করা। সমনের নিচে বিচারকের  স্বাক্ষর ও সীল থাকবে। সমনের ২টি কপি থাকবে। সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে তাহার প্রধান কর্মকর্তার নিকট জারি করতে হবে। অন্য জেলার ক্ষেত্রে ঐ জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর সমন পাঠাতে হবে। ওয়ারেন্টেও ম্যাজিষ্ট্রেট সীল থাকবে এবং আদালত বাতিল ও কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। 
* ওয়ারেন্ট যদি অন্য জেলায় হয় এবং ২০ কি.মি এর বেশি হয় এবং সেখানের আদালত বা পুলিশ সুপার কাছে হয় তার নিকট হাজির করতে হবে। হুলিয়া দিতে হবে আসামী সর্বশেষ যেখানে থাকত বা ব্যবসা করত সেখানে পাঠ/লটকিয়ে অথবা আদালত ভবনে ঝুলিয়ে, স্থাবর/অস্থাবর যে কোন সম্পত্তি ক্রোক করা যেতে পারে।
 অন্য জেলায় সম্পদ থাকলে অনুমতি সাপেক্ষ্যে ক্রোক করা যায়। ক্রোক করার নিয়ম ১) আটক করে ২) রিসিভার ৩) সম্পত্তি প্রদানে নিষেধ ৪) আদালতের যে কোন ইচ্ছা। 
*  অন্য কেউ সম্পত্তির মালিক হলে ৬ মাসের মধ্যে আদেশ কৃত আদালতে দাবি করতে হবে, আদালত তদন্ত করবে। দাবী অগ্রায্য হলে ১ বছরের মধ্যে মালিকানা দাবী করে মামলা করতে হবে। আসামী চলে আসলে ক্রোককৃত সম্পত্তি মুক্ত না আসলে মোকদ্দমা নিস্পত্তির আগে সম্পত্তি বিক্রি করা যাবে না। বাজেয়াপ্তির ২ বছরের মধ্যে আসামী চলে আসলে আসামীর সম্পত্তি বা টাকা ফেরত দিতে হবে অন্যতায় নয়। ক্রোকাদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চলে। 
* ৯৮ ধারায় চোরাই মাল/দলিল উদ্ধার এবং ১০০ ধারায় অবৈধ মানুষ আটরের জন্য সার্চ ওয়ারেন্ট হয়। পুলিশ ২জন স্বাক্ষির সামনে তল্লাশী করবে এবং যে মাল পায় তার তালিকা তৈরি করবে। 

৪র্থ ভাগ
* প্রতিরোধ ভাল। তাই ম্যাজি: মুচলেকা নিবেন। কোন খারাব মানুষের কাছ থেকে নিতে পারেন বা শান্তি রক্ষার জন্য তার কাছ থেকে বন্ড সম্পাদন করে নিতে পারেন। ১০৬-১৪৮।
যারা দন্ডিত বা কারাভোগ করেছে তাদের দন্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মুচলেকা কার্যকর হবে। মেয়াদ ম্যাজি: দিবেন। অন্যরূপ ও হতে পারে।  মেয়াদ না থাকলে তামাদি মেয়াদ ১ বছর। (১০৬,১০৭,১৪৫)।
ক্স ৫ বা তোতদিক ব্যাক্তির করাকে বে আইনি সমাবেশ বলে। চর এলাকায় বেশি হয়। ম্যাজি: থানার অফিসার ইনর্চাজ বেআইনি সমাবেস কান্ডের নির্দেশ দিবেন। নির্দেশ না মানলে তিনটি উপায় প্রয়োগ করতে পারে। রাস্তাঘাট,নদী,খাল বাধা দেওয়া গন উপদ্রপ। (১৩৩-১৪৩)। 
অস্থায়ী আদেশ ম্যাজি: দিবেন। ২ মাসের অধিক  বলবৎ থাকবে না। এ আদেশ মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি নয়।
পক্ষগণকে তর্কিত সম্পত্তির দাবির বিষয়ে লিখিত বর্নণা দিতে হবে। ম্যাজি: দখলদারকে সম্পত্তি বুঝিয়ে দিবেন এবং অপরকে বিঘœ করতে মানা করবেন। দখলদার মানে কলহ শুরুর আগে যে দখলে ছিল। প্রয়োজনে ক্রেক করবেন পরে রিসিভার বসাবেন ও তদন্ত করবেন।
৫ ম ভাগ (পুলিশ খবর ও তদন্ত)
ধারা-১৫৪: মামালা ২ ভাবে হয়- ১। থানায়, ২। আদালতে,   থানার মামলা ২ ধররেণর ১। আমলযোগ্য ২। আমল অ-যোগ্য।
@ কোন ব্যাক্তি আমল যোগ্য কোন অপরাধের যে খবর দেয় এর নামই এজাহার। এজাহার লিখিত ও মৌখিক হতে পারে। মৌখিক ক্ষেত্রে যে দেবেন তিনি সাক্ষর করবেন । এজাহার  ২টি কারনে মূল্যবান। ১। সরকার জাগ্রত হয়। ২। ঘটনার অস্তিত্ব ।  অ-আমল যোগ্য ঘটনা থানায় দিলে ম্যাজি: এর অনুমতি ছাড়া তদন্ত চলে না। গুরুতর  অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশই যথেষ্ট। তদন্তকারী কে সাধারণ জনগন সাহায্য করতে বাধ্য। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যে কাউকে সমন দিতে পারে এবং এসে সে জবানবন্ধী এবং সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য ---- ছাড়া। বক্তব্যেও শেষে কারো স্বাক্ষর নেওয়ার প্রয়োজন নাই। কাউকে চাপ দিয়ে কোন তথ্য নেওয়া যাবে না। সকল বিষয়ে ডাইরীভূক্ত হবে যা ম্যাজি: দেখতে চাইতে পারে। মৃত্যুর ক্ষেত্রে সুরতহাল রির্পোট তৈরি ও পোষ্টমটাম করতে হবে, এতে স্বাক্ষী লাগবে। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হলে এ দায়িত্ব ম্যাজি:-এর, প্রয়োজনে ম্যাজি লাশ উত্তলন করবে।
নোট: ডায়েরী: তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিদিন তার ডায়েরীতে তদন্তের অগ্রগতি লিপিবদ্ধ করবেন। কখন শুরু করেন কখন শেষ করেন, কোন স্থানে বা সময়ে, এবং অবস্থার করা উল্লেখ করবেন। পুলিশ রির্পোট: ১৭৩ ধারা: তদন্ত করিয়া যে রির্পোট দখিল কওে তাই পুলিশ রির্পোট। পু:রি: ২ধরণের ১। অভিযোগ পত্র ২। চুড়ান্ত প্রতিবেদন। রির্পোট গ্রহন করতে ম্যাজি: বাধ্য নয়। ফাইনাল রির্পোটের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী নারাজি দিতে পারে।  রির্পোট ৪ ভাবে নিস্পত্তি করা যায়। নারাজি গ্রহিত নাহলে অভিযোগকারী রিভিশন করতে পারবে ৩০ দিনের মধ্যে। 
৬ষ্ঠ ভাগ (মামলার কার্যক্রম)
@ ম্যাজি:-এর তদন্ত ও বিচারের ক্ষেত্রে ফৌ: আদালতের এখতিয়ার
ক. তদন্ত বা বিচারের ক্ষেত্রে খ. মামালা দায়ের করিবার আবশ্যকিয় শর্ত
* যে এলাকায় অপরাধ সংগঠিত সে এলাকায বিচার। অপরাধটি যদি ২টি স্থানে হয় তবে যে কোন একটিতে করা যায়। দেশের বাহিরে করিলে দেশের ভিতর করেছে ধরে বিচার করা হবে। ম্যাজি:-এর কাছে তিনভাবে মামলা আসতে পারে-১। ফরিয়াদি, ২। পুলিশ, ৩। নীজে। 
নীজের কেস সব ম্যাজি: বিচারের জন্য গ্রহন করতে পারে না আসামী আপত্তি করিলে অন্য ম্যাজি: বিচার করিবেন। ব্যতিক্রম ব্যতিত চীফ, চীফ মেট্রে, ১ম শ্রেনীর ম্যাজি: যে কোন অপরাধ আমলে নিতে পারে। ম্যাজি: কোন কেস না প্রেরণ করিলে দায়রা অপরাধ আমলে আনতে পারে না। করিলে তা আইন বহিভূত। অনুমতি থাকিলে অন্য জুড়ি: আমলে নিতে পারে। 
*** বেশি ক্ষেত্রে ভিকটিম/সাক্ষী/তত্ত্বাবধায়ক নালিশ না করিলে আদালত অপরাধ আমলে নইতে পারে না। 
ম্যাজি: ২০০ ধারায় শপথ পূর্বক ফরিয়াদির জবানবন্দি ম্যাজি: লিখতে বাধ্য, আইনের নির্দেশ। লিখার পর ফরিয়াদি ও ম্যাজি: তাতে স্বাক্ষর করিবেন। যদি বিচারের ক্ষমতা ম্যাজি: না থাকে তবে অন্য আদালতে যাওয়ার জন্য আরজি ফেরত দিবেন। নালিশ গ্রহনের পর আদালত ইনকোয়ারি/সমন/ওয়ারেন্টে জারি করবেন। ইনকোয়ারির পর আমলে লইবার কারণ না থাকলে মামলা ডিসমিস করবেন এবং আরজিতে তার কারণ লিখবেন। ইনকোয়ারি রির্পোট ম্যাজি মানতে বাধ্য নয়। ১ম বার ডিসমিস হলে ২য় বার কেস করা যায় (কঠিন বটে)।
ফরিয়াদিকে পরীক্ষার উদ্দেশ্য নালিশটি সত্য/মিথ্যা/অহেতুক বা বিচারযোগ্য কি না দেখা। সমন পেয়ে আসামী উপস্থিত এখন ম্যাজি: চার্জ করবেন। চার্জের মধ্যে অপরাধের নাম, স্থান, সময়, ব্যক্তি বা বস্তু থাকবে। দন্ডবিধির অপরাধের ক্ষেত্রে শুধু ধারা উল্লেখ করতে হবে, যে অপরাধ দন্ডবিধিতে নাই সে ক্ষেত্রে অপরাধের সজ্ঞা চার্জে তুলে ধরতে হবে। চার্জ গঠনে ভুল হলে সাধরণত কোন ক্ষতি হয়না, রায়ের আগে যে কোন সময় চার্জ সংশোধন করা যায়। চার্জ পরিবর্তন হলে সাক্ষীদের পুনরায় ডাকা বা নতুন সাক্ষ্য নেওয়া যায়। আসামীর যদি কোন পূর্ব দন্ড থাকে তবে তার পূর্ব স্থান, সময় চার্জে তুলে ধরতে হবে। নতুন চার্জে আসামীর ক্ষতি হলে আপীল আদালত পূ:বিচারের আদেশ দিবেন। একাধিক অপরাধের জন্য আসামীর আলাদা আলাদা চার্জ গঠন করতে হবে তবে ১বছরের মধ্যে তিনবার ১ই অপরাধ করলে ১সাথে বিচার করা যায়। চার্জ ইংরেজীতে/আদালতের ভাষায় লিখতে হবে। অনেকের একসাথেও চার্জ গঠন করা যায়। চার্জ ম্যাজি: আসামীকে পড়ে শুনাবেন এবং জিজ্ঞেস করবেন তিনি এ অপরাধ করেছেন কি না। স্বীকার করলে শাস্তি না করলে সাক্ষী প্রমানে দন্ড/খালাস। তবে দন্ড/খালাসের আগে বাদী তার নালিশ তুলে নেওয়ার আবেদন করতে পারবে। অভিযোগ মিথ্যা থাকলে বাদী ক্ষতিপূরণ (১ম শ্রেনী-১০০০, ৩য়-৫০০ টাকা) দিবেন, ক্ষতিপূরণ না দিলে বিনাশ্রম কারাদন্ড। উল্লেখ্য নালিশী মামলায় বাদীকে উপস্থিত থাকতে হবে অন্যথায় আদালত ইচ্ছায় আসামীকে খালাস দিতে পারে। 
ম্যাজি:  ক্ষতিপূরণ (১ম শ্রেনী-১০০০, ২/৩য়-৫০০ টাকা), অনাদায়ে ৩০ দিন কারাদন্ড। +নতুন নিয়মে যোগ হয়েছে ম্যাজি: স্ব-ইচাছায় ৩০০০/-টাকা ও ৬ মাসের কারাদন্ড দিতে পারে। 
বাদীর উপর ১০০ টাকার অধিক জরিমানা করলে বাদী ঐ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবে। 

দায়রা: সকল কেইস প্রথমে ম্যাজি: কাছে আসে তিনি দায়রাতে স্থানান্তর করেন। দায়রা আসামীকে ডিসচার্জ অথবা চার্জ করবেন। স্বীকার করলে শাস্তি না করলে সাক্ষী প্রমানে দন্ড/খালাস। 

ইনকোয়ারী ও বিচার সম্পর্কে: ৩৩৭ ধারা থেকে  . . . 
গুরুতর অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ব্যক্তিকে ম্যাজি: ক্ষমতা প্রার্থনা করে তাকে রাজসাক্ষী বলে। রাজসাক্ষীর জবানবন্দী যদি অপরাধের সাক্ষীর সাথে মিলে যায় তবে আসামীদের শাস্তি দেওয়া যাবে। রাজসাক্ষী যদি মিথ্যা তথ্যদেয় তবেও অন্য আসামীদের সহিত বিচার করা যাবে না। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে আলাদা বিচার করতে হবে। 
** ম্যাজি: মোকদ্দমা প্রাপ্তির ১৮০ দিন এবং দায়রা, অতি দায়রা, যুগ্ম  ৩৬০ দিনের মধ্যে বিচার সমাপ্ত করবেন। নির্যারিত সময়ে মোকদ্দমা শেষ না হলে আসামী জামিনের অযোগ্য হলেও জামীনের হকদার। জামীনে গিয়ে যদি আসামী পলাতক হয় তবে ঐদিনগুলো হিসাব থেকে বাদ যাবে। 
আসামীর জবানবন্দী মামলার যে কোন পর্যায়ে গ্রহন করা যায় এতে শপথ বা সতর্কের কোন প্রয়োজন নেই। এতে আসামী মিথ্যা তথ্য দিলে বা উত্তর না দিলে দোষী হইবে না। 
** বিচারের মূলনীতি হইল একতরফা কাউকে দোষী সাবস্থ করা যায় না। বাদী পক্ষের সাক্ষীর পর আসামী পক্ষ সাফাই সাক্ষী নিবেন। ম্যাজি: তা লিপিবদ্ধ করবেন। বিচার পদ্ধতি সংক্ষিপ্ত হলে সারাংশ লিখবেন। পরে সাক্ষীতে পড়ে শুনাবেন অনুবাধ করে। আসামীর ক্ষেত্রে প্রশ্ন ও উত্তর উভয় লেখতে হয়। লিখা ও বলার মধ্যে পার্থক্য থাকলে সাক্ষী আপত্তি করতে পারবেন। 

রায় বিষয়ে: রায় মানে চুড়ান্ত আদেশ। রায় লিখার নিয়ম প্রথমে বাদী পক্ষের বক্তব্য এরপর আসামী পক্ষের বক্তব্য এরপর বিচার্য বিষয়ের কথা পয়েন্টগুলো এক এক করে। পয়েন্টের উপর ম্যাজি: যুক্তি, অপরাধ হলে ধারা লিপিবদ্ধ করে আসামীর উপস্থিতিতে রায় পড়ে শুনাবেন। রায়ের শেষে ম্যাজি: স্বাক্ষর করবেন। স্বাক্ষরের পর ম্যাজি: আর কিছু করার নেই। বিচার শেষ। 
** দায়রা জজ কোন মৃতুদন্ডাদেশ দিলে কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমতি লাগবে। হাইকোর্টে কোন দন্ড মওকুফ/ বহাল রাখলে দুই বা ততোদিক বিচারকের স্বক্ষরের প্রয়োজন।   
নোট: ১দিনের জেল হলে কারাগারে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। গর্ভবতী মহিলার মৃতুদন্ডাদেশ কার্যকর করতে হবে সন্তান জন্মের পর। **যেদিন থেকে দন্ডাদেশ দেওয়া হয় সে দিন থেকেই কার্যকর। কেউ কারাগারে থাকাকালিন সময়ে নতুন কারাদন্ড এলে একটি শেষ হওয়ার পর অন্যটি শুরু হবে। অবশ্য আদালত যে কোন আদেশ দিতে পারে। ১৫ বছরের কম শিশু সংশোধনাগারে যাবে।  ** শাস্তির আদেশ দেবার অধিকার আদালতের এবং কার্যকর করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার ইচ্ছা করলে শাস্তি মওকুফ/ স্থগিত বা প্রকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। সরকার ৫টি ভাবে স্পর্শ করতে পারে। 
৭ম ভাগ
আপীল(৪০৪ ধারা): তামাদী মেয়াদ:
দন্ডের বিরুদ্ধে: দায়রায় ৩০দিন, হাইকোর্টে ৬০ দিন। খালাস-(৬০দিন ও ৬মাস), অপর্যাপ্ত-৬০দিন। 
*আপীল নিস্পত্তির সময় গৃহীত হওয়ার দিন থেকে ৯০ দিন।

 ম্যাজি: আদালত ফৌ: বিচার শুরু-সাক্ষ্য গ্রহন/সওয়াল জবাব/দলিল-আলামত এবং শেষে দন্ড/খালাস-১ম পর্যায়ের বিচার শেষ। এর পরের পর্যায় আপীল।
**২য়/৩য় ম্যাজি: এর আপীল-চীফ, চীফ মোট্রে। চীফ নিজে অথবা অতি:চীফে বদলী করে বিচার করতে পারে। 
** যুগ্ম দায়রা, চীফ, চীফ মেট্রো: অতি:চীফ এবং ১ম শ্রেনীর আপীল শুনার অধীকার একমাত্র দায়রা, দায়রা নিজে করবেন অথবা অতি: দায়রায় বদলী করবেন। ব্যতিক্রম: যুগ্ম দায়রা ৫ বছরের বেশি সাজা এবং ম্যাজি: রাষ্ট্রদ্রহের মামলার আপীল সরাসরি হাইকোর্ট। দায়রা বা অতি:দায়রার বিরুদ্ধে আপীল হাইকোর্টে। 

** ২০০ ধারা: ৭দিনের মধ্যে খালাসের বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে আপীল। অন্য ক্ষেত্রে বাদীর পক্ষে সরকার পি.পির মাধ্যমে আপীল করবেন। আপীল চলার সময় আপীল আদালত আসামীকে জামিন/গ্রেফতার করতে পারে। নতুন সাক্ষী গ্রহন বা পুরাতন সাক্ষী তলফ করতে পারে। 
নোট: আপীল চলে না: যদি কোন আসামী দোষ স্বীকার করে তবে আপীল চলে না। দায়রা-১ম ম্যাজি: আদালত অনধিক ১মাস কারাদন্ড, অন্য আদালত ৫০ টাকা জরিমানা করলে আপীল চলে না। সংক্ষিপ্ত বিচারে ২০০ টাকা জরিমানা করলে আপীল চলে না। জরিমানার অনাদায়ে করাদন্ড দিলেও। 
আপীল কখন চলে?: খালাসের বিরুদ্ধে ঘটনার ও আইন প্রশ্নে আপীল  চলে। দন্ডের/খালাসের/ভুলভাবে সাক্ষ্য গ্রহন/ ভুলভাবে সাক্ষী প্রত্যাক্ষাণ সকল বিষয়ে আপীল চলে। 
রেফারেন্স/রিভিশন
তামাদি দায়েরের মেয়াদ------------, রিভিশন নিস্পত্তির সময় - নোটিশ প্রাপ্তি-৯০দিন।
নিন্ম আদালতের বিচারের ভুলের সংশোধণের জন্যই রিভিশনের বিধান ম্যাজি: এর আদেশ অশুদ্ধ/অসত্য/ বেআইনী তবে তারা সে আদেশকে শুদ্ধ/সঙ্গত/ আইনানুগ করতে আদেশ দিতে পারেন। তবে তা অতি সাবধানতার সহিত করবেন। 
৮ম ভাগ বিচার সংক্রান্ত
হেবিয়াস কর্পাস (রাজআজ্ঞা)একটি আদেশ। এ আদেশের সময়সীমা নেই। এর বিচার হয় এফিডেবিটের মাধ্যমে। এ আবেদন যে কেউ করতে পারে। 
৯ম ভাগ
ধারা(৪৯২-৪৯৫): জি.আর মামলা পি.পি দ্বারা পরিচালিত হবে। বে-সরকারী উকিল তার অধীনে কাজ করবেন। 
জামিন বিষয়ে: জামিনযোগ্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে হাজির থাকলে তাকে নিতে বলতে হবে। জামিন নিতে সম্মত হলে তাকে মুক্তি দিতে হবে। জামিনদার ছাড়াও নীজ মুচলেকায় জামিন দেওয়া যায়। জামিন নিয়ে হাজিরা দিতে ব্যার্থ হলে জামিনদার নির্ধারিত টাকা  দিতে বাধ্য থাকিবেন। জামিনদারের দায়িত্ব আসামীকে আদালতে হাজির করার। জামিনের অযোগ্য অপরাধেও জামিন দেওয়া যায়। তবে ফাসি ও যাবৎজীবন অপরাধের অপধিকে জামিন দেওয়া যাবে না। কিন্তু মহিলা, ১৬ বছরের কম, অসুস্থ, অক্ষম জামিন পাইতে পারে। 
জামিনদারের বন্ড কত হবে তা আদালত নির্ধারণ করবেন। এ  বন্ডের টাকার পরিমান বেশি হলে দায়রা কিংবা হাইকোর্ট কমাতে পারে। ম্যাজি: আদালত জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫টি বিষয় বিবেচনা করবেন। জামিনদার আদালতে এসে জামিনদার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।  নোট: ৪৯৫ ধারা অনুযায়ী মহিলা, ১৬ বছরের কম, অসুস্থ, অক্ষম আদালত ইচ্ছা করলেই শুধু জামিন পাইতে পারে। 
৫১৬ চলবে----- মামলা হস্তান্তর করণ


অল নোট: মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য অনধিক ৬ মাস কারাদন্ড ও ৩০০০/- টাকা জরিমানা। 
নিবর্তনমুলক আটক: সবোর্চ্চ-১২০দিন, প্রথমে ৩০ দিন পরে ৯০ দিন।



৯। দেওয়ানী কার্যবিধী আইন-১৯০৮

No comments:

Post a Comment