Friday, November 8, 2019

বার কাউন্সিলের পরিক্ষার পদ্ধতি ও বিষয়

আইনজীবী তালিকা ভূক্তির দায়িত্ব বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের। প্রতি বছর বার কাউন্সিলের সুবিধা সময় এ পরিক্ষা গ্রহন করে থাকে। 
প্রতি বছর পরিক্ষা গ্রহনের নিয়ম থাকলেও বার কাউন্সেল তা গ্রহনের ব্যার্থ হয়েছে বারংবার। এমন কি একটি পরিক্ষার সমাপ্ত হওয়ার পর অপরটি নিতে ২/৩ বছরও লেগে যায়। এতে সমস্যা হলো কোন ছাত্র যদি ১ বার খারাপ করে তবে আমার পরিক্ষায় পাশ করলেও জীবন থেকে ৫-৬ বছর চলে যায়।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরিক্ষার বিষয় সমূহঃ
৭। বার কাউন্সিল অর্ডার ও রুল-১৯৭২



বার কাউন্সিলের পরিক্ষার গ্রহনের পদ্ধতিঃ 
পরিক্ষার্থীদের জন্য বার কাউন্সিলের একটি নিদিষ্ট সিলেবাস আছে। পরীক্ষা সমাপ্ত হয় তিনটি ধাপে-
১। এম.সি.কিউ
২। লিখিত পরীক্ষা
৩। ভাইবা

১। প্রথমে এম.সি.কিউঃ 
১ ঘন্টায় ১০০টি প্রশ্নের বিপরিতে ১০০ টি বৃত্ত ভরাট করতে হয়। ১টি প্র্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে ১ নাম্বার। ৫০ নাম্বার হলো পাশ নাম্বার।  আর যদি কউ ভুল উত্তর দেয় তবে .২৫ নাম্বার কাটা যাবে। ৪টি ভুল উত্তরে ১ নাম্বার কাটা যায়। ফলে অনুমান করে উত্তর না দেয়া জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ রহিল। কেননা অনুমান ভিত্তির উত্তর বেশির ভাগ সময় ভুল হয়। যেহেতু ৫০ নাম্বার পাশ নাম্বার তাই অতিরিক্ত রিক্স নিয়ে অনুমান ভিাত্তক উত্তর দেয়া ঠিক নয়। 
এম.সি.কিউ পরিক্ষায়  বিষয় ভিত্তিক নাম্বার বন্টনঃ
১। দেওয়ানি কার্যবিধি-১৯০৮ থেকে ২০টি প্রশ্নে ২০ নম্বর।
২। সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭ থেকে ১০টি প্রশ্নে ১০ নম্বর।
৩। ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮ থেকে ২০টি প্রশ্নে ২০ নম্বর।
৪। দন্ডবিধি-১৮৬০ থেকে ২০টি প্রশ্নে ২০ নম্বর।
৫। তামাদী আইন-১৯০৮ থেকে ১০টি প্রশ্নে ১০ নম্বর।
৬। সাক্ষ্য আইন-১৮৭২থেকে ১৫টি প্রশ্নে ১৫ নম্বর।
৭। বার কাউন্সিল অর্ডার ও রুল-১৯৭২ থেকে ৫টি প্রশ্নে ৫ নম্বর।
নোটঃ তবে পরীক্ষায় বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন কম বেশি হয়ে থাকে।

২। লিখিত পরীক্ষাঃ 
লিখিত পরীক্ষা হয় মোট ১০০ নাম্বার।৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় মোট ৪ ঘন্টায়। যারা এম.মস.কিউ পরিক্ষায় পাশ করবে তারা লিখিত পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবে।যদি লিখিত পরিক্ষায় অকৃতকার্য হয় তবে তাকে শুধু লিখিত পরিক্ষা দিতে হয়। তবে  ২০১৯ সালের পূর্বে যদি কেউ লিখিত পরিক্ষায় খারাপ করতেন তবে তাকে আবার এম.সি.কিউ পাশ করে লিখিত পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে হতো। 

লিখিথ পরিক্ষায়  বিষয় ভিত্তিক নাম্বার বন্টনঃ
১। দেওয়ানি কার্যবিধি-১৯০৮ থেকে ও সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭ থেকে
৩ টি প্রশ্ন থাকবে ২টির উত্তর দিতে হবে ১৫*২=৩০ নম্বর।
২। ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮ থেকে 
২ টি প্রশ্ন থাকবে ১টির উত্তর দিতে হবে ১৫*১=১৫ নম্বর।
৩। দন্ডবিধি-১৮৬০ থেকে 
২ টি প্রশ্ন থাকবে ১টির উত্তর দিতে হবে ১৫*১=১৫ নম্বর।
৪। তামাদী আইন-১৯০৮ থেকে 
২ টি প্রশ্ন থাকবে ১টির উত্তর দিতে হবে ১৫*১=১৫ নম্বর।
৫। সাক্ষ্য আইন-১৮৭২ থেকে 
২ টি প্রশ্ন থাকবে ১টির উত্তর দিতে হবে ১৫*১=১৫ নম্বর।
৬। বার কাউন্সিল অর্ডার ও রুল-১৯৭২ থেকে 
২ টি প্রশ্ন থাকবে ১টির উত্তর দিতে হবে ১০*১=১০ নম্বর।


৩। মৌখিক/ ভাইবা ঃ এক জন শিক্ষাথী মৌখিক পরিক্যষায় পাশ করলেই বার কাউন্সিল তাকে আইন পেশায় প্যাকটিসের সনদ দিয়ে থাকেন। এটাই সনদ পাওয়ার শেষ স্টেপ। তবে কউ যদি মৌখিক পরিক্ষায়  অকৃতকার্য হয় তবে পর পর তিন বার শুধু মৌখিক/ভাইবায় অংশগ্রহন করতে পারবেন এতে তাকে আর এম.সি.কিউ এবং লিখিত পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে হয় না। তবে যদি তিনি পর পর তিন বার ভাইবায় পাশ করতে না পারে তাহলে চতুর্থ বার আমার এম.সি.কিউ, লিখিত পরিক্ষা দিয়ে তারপর ভাইবায় অংশগ্রহন করতে হবে। 

ধন্যবাদ 

1 comment: